‘মাঠ বাঁচাও, প্রজন্ম বাঁচাও’ স্লোগানে খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে রাঙামাটির লংগদুতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করে বাইট্টাপাড়াবাসী।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাইট্টাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহাদাৎ ফরাজী সাকিব, আব্দুল্লাহ আল মামুন, রবিউল ইসলাম, মিজানুর রহমান, স্থানীয় সংবাদকর্মী আরমান খানসহ স্থানীয় খেলোয়াড়, সংগঠক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাইট্টাপাড়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় একটি মাত্র উন্মুক্ত খেলার মাঠ রয়েছে। মাঠের পাশে মসজিদের জায়গা থাকার পরও, উন্মুক্ত মাঠে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে মাঠটিতে আর খেলাধুলা করা যাচ্ছে না। এতে যুবসমাজ মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।

রাঙামাটির লংগদুতে খেলার মাঠে মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে ইউএনওর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

মসজিদের জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করে খেলার মাঠটি উন্মুক্ত রাখার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

বাইট্টাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহাদাৎ ফরাজী সাকিব বলেন, যারা মাঠ রক্ষার জন্য আজ পথে নেমেছে কেউই মসজিদ নির্মাণের বিপক্ষে নয়। আমরাও মডেল মসজিদ নির্মাণের পক্ষে কিন্তু এলাকায় একটি মাত্র খেলার মাঠ, সেটিকে ধ্বংস করে নয়। আমরা মাঠও চাই, মসজিদও চাই। তবে মসজিদের জায়গায় হোক মসজিদ। মাঠের জায়গায় মাঠ থাক।

আরেক স্থানীয় তরুণ সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, একটি এলাকায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও প্রয়োজন। বিকেলে একটি সময় খেলাধুলা করতে না পারলে এই যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। এই যুবসমাজকে বাঁচিয়ে রাখতে এই মাঠটিকে রক্ষা করতে হবে।

এই বিষয়ে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি বিয়টি নিয়ে ইউএনওসহ স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করব। আমার যতটুকু মনে আছে, আমি রাঙামাটিতে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এটির প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবুও আমি বিষয়টি দেখছি।’