রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানকে দুদকের মামলায় জামিন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/05/16/joj-court-691532948.jpg)
দুদকের দায়ের করা মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম জামিন পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে হুমায়ুন খাদেম আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক জামিনের এই আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আট জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।
অপর আসামিরা হলেন—রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।
আরজিতে বলা হয়েছে, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয় যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর হচ্ছে ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তীতে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।
পরবর্তীতে মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সেলিনা আখতার।