রাজধানীতে আ.লীগের নেতা ও শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগের নেতা ও শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংগ্রহ করা ছবি। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম। তবে, কোথায়-কখন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

এ ঘটনা সম্পর্কে আজ রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তিরা ঘটনার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন। পেশাদার একটি ‘কিলার’ গ্রুপ এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তি মূলত ভাড়াটে খুনি। ঘটনাস্থল থেকে জব্দ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বুকের সামনে ব্যাগ আর হেলমেট পরা এক যুবক মোটরসাইকেল থেকে নেমেই মাইক্রোবাসের সামনের সিটে বসা টিপুর গাড়িতে গুলি চালান।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মাইক্রোবাসে করে বাসায় ফেরার পথে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে হেলমেট পরা এক দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে জাহিদুল ও তাঁর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী প্রীতিও। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে তিনিও বিদ্ধ হন। পরে তিন জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।