রাজধানীতে এটিএম বুথে ছিনতাই, ব্যবসায়ীকে হত্যা
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. শরিফ উল্লাহ (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ছিনতাইকারী আব্দুস সামাদকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি মহসিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছিনতাইয়ের সময় ছুরির আঘাতে শরিফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে আটক করা হয় আব্দুস সামাদকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ সড়কে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে আশপাশের লোকজন ওই ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শরিফকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দুটোর দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মহসিন বলেন, ‘নিহত শরিফ উল্লাহ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার মধুপুর গ্রামের মৃত মোহাব্বত আলীর ছেলে। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৬/সি সড়কের ২৪ নম্বর প্লটে টাইলসের ব্যবসা করতেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠানের নাম জাকিয়া টাইলস গ্যালারি অ্যান্ড স্যানিটারি।’
জানা গেছে, শরিফ উল্লাহ গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানার আওতাধীন দেওড়া এলাকার ১৮৯ শাহজালাল সড়কে স্ত্রী রিয়ানা পারভিন পলি ও দুই ছেলে শাহ নেওয়াজ স্বাধীন (১২) ও সোয়েব মাহমুদকে (৫) নিয়ে বসবাস করতেন।
শরিফের বড় ভাই জাকির হোসেন জানান, আমার ছোট ভাই ব্যবসা করত। রাতে ব্যবসার কাজে টাকা ওঠাতে গেলে ছিনতাইকারী এটিএম বুথের ভেতরে ঢুকে শরিফের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী ওর গলা ও ঘাড়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন।
পুলিশ জানায়, সুরতহাল প্রতিবেদনে মরদেহের ডান পাশের কানের নিচে গলায় ধারাল অস্ত্রের বড় জখম ও বাঁ পাশের কানের নিচে দুটি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।