রাজধানীতে গুলিতে আওয়ামী লীগের নেতাসহ দুজন নিহত
ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকায় সড়কে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাসহ দুজন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আমতলী মানামা ভবনের সামনের সড়কে মাইক্রোবাসে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে (৫৪) লক্ষ্য করে এ হামলা হয় বলে পুলিশের ধারণা।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিহত অন্য জনের নাম সামিয়া আফনান প্রীতি (১৮)। তিনি বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না (২৪)।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মনির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাব দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ঘটনা তদন্তে এলাকার কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি মোল্লা মনির হোসেন।
মোল্লা মনির হোসেন বলেন, ‘কেন এ হত্যাকাণ্ড, তা তো এখনই বলতে পারছি না। তবে, বিষয়টি আমাদের স্যারেরা দেখছেন। সম্ভব্য সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আবার অন্য কারণও থাকতে পারে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন বলেন, গুলিবিদ্ধ টিপু ও প্রীতিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আহত মুন্নাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ঘটনার সময় শাহজাহানপুর এলাকায় যানজটে আটকে ছিল টিপুকে বহন করা মাইক্রাবাসটি। হঠাৎ সড়কের উল্টো দিক থেকে মুখোশধারী দুর্বৃত্তেরা তাঁর মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে তাঁর শরীরে একাধিক গুলি লাগে। চালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন। এর পরেও এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকলে ওই সড়কে থাকা রিকশারোহী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনজনকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক টিপু ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওই এলাকার নারী কাউন্সিলর। তাঁদের বাসা শাহজাহানপুরে। টিপুর মৃত্যুর খবরে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী ঢাকা মেডিকেলে জড়ো হন।