রাজধানীতে রোববার থেকে ১০ টাকা কেজির চাল, লাগবে আইডি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমজীবী মানুষদের খোলা বাজারে (ওএমএস) ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে যাচ্ছে সরকার। আগামীকাল রোববার থেকে রাজধানীর শ্রমজীবীরা এই চাল কেনার সুবিধা পাবেন।
আজ শনিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আগামীকাল মিরপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিয়ালবাড়ীর রূপনগর ঝিলপাড় বস্তি এবং মহাখালীর সাততলা বস্তি এলাকায় বিক্রির মাধ্যমে এই বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম শুরু হবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে এই চাল কেনা যাবে। একজন ভোক্তা প্রতি সপ্তাহে একবার পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির কার্যক্রম ঢাকা জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় বা খাদ্য অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে ঢাকা রেশনিং ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
ঢাকার পর পর্যায়ক্রমে এই কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে শনিবার থেকে ৯৬টি কেন্দ্রে ওএমএসে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আটা বিক্রি কার্যক্রম চলবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, রাজধানীতে ৭৩টি বস্তিতে ৩৯ হাজার ১৮০টি পরিবারের বাস রয়েছে। এসব পরিবারের প্রায় দুই লাখ মানুষের বাস।
অবৈধ কার্ড জমার নির্দেশ
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বেনামি বা অবৈধ কার্ড জনপ্রতিনিধি-ডিলারসহ কারো কাছে থাকলে তা আগামীকাল রোববারের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ শনিবার সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (ডিসি-ফুড) কাছে পাঠানো চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ৫ এপ্রিলের পর কোনো অবৈধ কার্ড ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চিঠিতে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘খাদ্য সচিব প্রায় তিন মাস আগে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে তালিকাগুলো হালনাগদ করার জন্য পত্র দিয়েছিলেন। তার পরও তালিকাসমূহ যদি সম্পূর্ণ হালনাগাদ না হয়ে থাকে তবে এক্ষুনি আপনাদের কাছে আমার নির্দেশনা- যদি কোনো ডিলার, কোনো মেম্বার বা কেউ যদি বেনামি কার্ড সংরক্ষণ করে থাকেন তবে আগামী ৫ এপ্রিলের (রোববার) মধ্যে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট তা জমা দেবেন এবং স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতিমালা অনুসরণ করে তা রিপ্লেসমেন্ট করবেন।’
চিঠিতে জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের আরো বলা হয়, এই নির্দেশনার পরও যদি কোনো অবৈধ কার্ড ধরা পড়ে, তবে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।