রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানকে সাজা : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে দুই বছরের সাজার রায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশ-বিদেশে সরকারের অপশাসন, কুশাসন প্রচার তড়িঘড়ি করে আড়াল করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজানো মামলায় সরকারের নির্দেশে নড়াইলের আদালত ফরমায়েশি যে রায় দিয়েছেন তা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির দায়ে নড়াইলের একটি আদালত আজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুপুরে নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা এ আদেশ দেন।

এ রায়কে নজিরবিহীন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সত্য উচ্চারণের কারণে মানহানি মামলায় এ ধরনের রায় নজিরবিহীন ঘটনা। এ ঘটনায় পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে, আইন-আদালত সরকারের হাতের মুঠোয়। মূলত নানা অপকীর্তির কারণে বর্তমানে দেশ-বিদেশে এ সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে বিনষ্ট। এ কারণে সরকার বেপরোয়া ও উন্মাদ হয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে একতরফা বিচারিক প্রক্রিয়া চালিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রায় দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতের রায় কুটিল মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কণ্ঠরোধ করা হয়েছে গণমাধ্যমের। কেউ সত্য উচ্চারণ করলেই তার ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার খড়গ। এ মামলাটিও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকারের ভয়াবহ নির্যাতন ও নিপীড়নে শুধু গণমাধ্যম নয়, গোটা জাতি এখন সেলফ সেন্সরশিপে ভুগছে। এর মধ্যে সরকারের কিছু অপকর্ম বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সেটির উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে বরং তারেক রহমানকে সামনে আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশে মামলা ও আদালতের রায় সরকারের ইচ্ছেতেই নির্দেশিত হয়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার এ নজিরবিহীন রায়ও বর্তমান সরকারপ্রধানের ইচ্ছেরই প্রতিফলন। আমি এ রায় প্রত্যাখ্যান করে রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এ রায় প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করলেও দলটির সহদপ্তর সম্পাদক মুনীর হোসেন স্বাক্ষরিত এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।