রাজশাহীতেও সমাবেশমঞ্চে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য খালি চেয়ার
সারাদেশের মতো রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য চেয়ার খালি রাখা হয়েছে। এটি বিএনপির নবম গণসমাবেশ। এর আগে সকল বিভাগীয় সমাবেশমঞ্চে দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দেন নেতাকর্মীরা। গত তিন দিন ধরেই সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার সমাবেশস্থল লোকারণ্যে পরিণত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ করে বিএনপি। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ করে দলটি। গত ২৯ অক্টোবর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশালে, এরপর ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেটে এবং ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় গণসমাবেশ করে দলটি।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ।
রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের জন্য বুধবার ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী নগরের ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। পরিবহন ধর্মঘট ও নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা এড়াতে নির্ধারিত সময়ের আগেই আসা বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের বিশ্রাম ও রাত যাপনের জন্য সোমবার থেকে সমাবেশ স্থলে শামিয়ানা তৈরির কাজ করলেও মঙ্গলবার পুলিশ তা ভেঙ্গে দিয়েছে। এরপর সমাবেশ স্থলের পাশেই ঈদগা মাঠে বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীরা শামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান করছেন।
যেসকল শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে- মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ আগামী ৩ ডিসেম্বর সমাবেশ শুরুর পূর্বে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম ওই দিন দুপুর ২টায় শুরু করে ৫টায় শেষ করতে হবে।