রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে চলছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। ছবি : এনটিভি

রাজশাহীতে বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টায় মাদ্রাসা মাঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে বিএনপির এই গণসমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে রাজশাহীর স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিচ্ছেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এছাড়া  বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান,  বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুসহ কেন্দ্রীয় প্রায় ৩০ জন নেতা বক্তব্য দেবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. এরশাদ আলী ঈশা। রাজশাহী মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ এবং রাজশাহী জেলা বিএনপি সদস্য সচিব শ্রী বিশ্বনাথ সরকার সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন।

গণসমাবেশের নির্ধারিত সময়ের আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে রাজশাহী নগরীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ। বিএনপির নেতাকর্মীদের শ্লোগানে মুখরিত সমাবেশের নির্ধারিত স্থান। ইতোমধ্যে মাঠে জায়গা না হওয়ায় আশেপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

পরিবহন ধর্মঘট ও নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে শনিবার রাজশাহীতে নবম বিভাগীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি।

এখন পর্যন্ত আটটি সফল জনসভার মাধ্যমে প্রধান বিরোধী দলটি সংখ্যায় এবং সাংগঠনিক ক্ষমতার দিক থেকে তার শক্তি প্রমাণ করেছে। এমনকি বিএনপি জনসভা সফলে সকল বাধা মোকাবিলায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।  ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে মঞ্চে আসতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। গণসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার তিনি রাজশাহীতে এসে পৌঁছান।

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর  রাজশাহীতে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের জন্য বুধবার ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী নগরের ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। পরিবহন ধর্মঘট ও নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা এড়াতে নির্ধারিত সময়ের আগেই আসা বিভাগের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের বিশ্রাম ও রাত যাপনের জন্য সোমবার থেকে সমাবেশ স্থলে শামিয়ানা তৈরির কাজ করলেও মঙ্গলবার পুলিশ তা ভেঙে দিয়েছে। এরপর সমাবেশস্থলের পাশেই ঈদগাহ মাঠে বিভিন্ন জেলা থেকে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীরা শামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান করছেন।

যে সকল শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে- মঞ্চ তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত (আইডি কার্ডসহ) তারা ব্যতীত অন্য কেউ আগামী ৩ ডিসেম্বর সমাবেশ শুরুর পূর্বে সমাবেশস্থলে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবে না। সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম ওই দিন দুপুর ২টায় শুরু করে ৫টায় শেষ করতে হবে।