রাজশাহীতে স্কুল শিক্ষিকার গায়ে আগুন, স্বামী পলাতক
রাজশাহীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এতে ওই শিক্ষিকার মুখ ও বুক পুড়ে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুনের স্বামী সাদিকুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।
স্কুল শিক্ষিকার ছোট বোন নূরজাহান খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকেই গত ২০ বছর ধরে ফাতেমা খাতুনকে নির্যাতন করে আসছিলেন সাদিকুল। দুই সন্তান থাকায় নির্যাতন সহ্য করেই সংসার করছিলেন তার বোন।
নূরজাহান খাতুন আরও জানান, বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান সাদিকুল। আগুনে তার বোন ফাতেমার মুখ, বুক ও দুই হাত পুড়ে যায়। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
পলাতক সাদিকুল ইসলামের বাড়ি নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। তার পিতা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন।