রাজশাহীতে ৬৭ বস্তা চাল জব্দ, আ.লীগ নেতা আটক

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহীর গোদাগাড়িতে ওএমএসের চাল আত্মসাতে আটক আ.লীগ নেতা। ছবি : এনটিভি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চালসহ পাকড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাল উদ্দিন স্বপনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি থেকে ৬৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সরকার ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালান। তাঁর সঙ্গে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম ও কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শিশির কুমার কর্মকারও ছিলেন।

ইউএনও নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সম্প্রতি গরিবদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হলে ডিলার আলাল উদ্দিন স্বপন ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পান। রেজিস্ট্রারে তিনি দেখিয়েছেন মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে ৪৯২ জনকে ১০ টাকা দরে চাল দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিনি প্রায় ২০০ ব্যক্তির কাছ থেকে ওএমএসের কার্ড কেড়ে নিয়েছেন। আবার রেজিস্ট্রারে জাল স্বাক্ষর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রেজিস্ট্রারে অনেকের স্বাক্ষরই নেই। অভিযোগ পাওয়া যায় ডিলার স্বপন ১০ টাকা কেজি দরের চাল আত্মসাত করেছেন।’

ইউএনও আরো বলেন, ‘এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি ঘরে ৬৭ বস্তা চাল পাওয়া যায়। প্রতিটি বস্তায় পাওয়া গেছে ৫০ কেজি। সরকারি বস্তা থেকে বের করে চালগুলো সাধারণ বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল। বাড়িতে এতো চাল পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতা স্বপনকে আটক করা হয়েছে।’

ইউএনও বলেন, ‘চালগুলো গুদামে থাকার কথা। গুদামের সামনে থাকার কথা সাইনবোর্ড। কিন্তু কিছুই নেই। চাল ছিল বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে প্রায় শতাধিক ব্যক্তির কার্ড পাওয়া গেছে, যেগুলো বিতরণের কথা ছিল। স্বপন চাল আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। স্বপনের কাছে ৩৫টি কার্ড পাওয়া গেছে। ফাঁকা কার্ড পাওয়া গেছে ১০০টির ওপরে। ৩২০টি সরকারি খালি বস্তা পাওয়া গেছে। তাঁকে গত ৮ মার্চ ১৫ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ এপ্রিল ১৫ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে। তিন ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।’

আজ রাত ১০টার দিকে ইউএনও জানান, গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা আলাল উদ্দিন স্বপনের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী মডেল থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মামলার বাদী হয়েছেন।