রাজশাহী বিভাগে একদিনে করোনায় মৃত্যু বেড়ে দ্বিগুন
রাজশাহী বিভাগে একদিনে করোনায় মৃত্যু বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ১২ জনের। আর এর আগে গত ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে আরও এক হাজার ২২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আজ রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভাগে আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ২৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২২৫ জনের। পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ। আগের দিন চার হাজার ২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ১২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ২৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। নতুন এক হাজার ২২৫ জন নিয়ে বিভাগে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৬১ হাজার ৬৫০ জন।
শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ৩৪২ জন। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০, নওগাঁয় ১৮১, নাটোরে ৯৭, জয়পুরহাটে ৭৫, বগুড়ায় ২৩৮, সিরাজগঞ্জে ৭৬ ও পাবনায় ১৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নতুন ২৪ জন নিয়ে বিভাগে করোনায় মৃত্যের সংখ্যা ৯৭৩। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে বগুড়ায় আট, জয়পুরহাটে তিনজন, নাটোরে দুইজন, পাবনা ও নওগাঁয় একজন করে আছেন। মৃত ৯৭৩ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বগুড়া জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী জেলায় ১৭৮ জনের। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১১৯ জন, নওগাঁয় ৯০ জন, নাটোরে ৬৪ জন, জয়পুরহাটে ৩২ জন, সিরাজগঞ্জে ৩০ জন এবং পাবনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
এদিকে, রাজশাহী বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ৪৯৭ জন। আগের দিন সুস্থ হয়েছিল ৪৯২ জন। নতুন ৪৯৭ জন নিয়ে বিভাগে মোট সুস্থ হয়েছে ৪২ হাজার ২৪৪ জন। বর্তমানে বিভাগের আট জেলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন সাত হাজার ৩৪২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪৭ জন। বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে ১২ হাজার ৬৪ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমা আক্তার আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে গত কয়েকদিন মৃত্যু কম ছিল। আজ একদিনে সর্বোচ্চ ২৪ জন হয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে। শনাক্ত বাড়লেও শনাক্তের হার কমেছে।