রাজশাহী রেঞ্জের এসপি বেলায়েতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ফাইল ছবি

চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদার হোসেনের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন গোলাম মোস্তফা আদর নামে ঢাকার একজন ব্যবসায়ী।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সালাহ উদ্দিন বিকেলে বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা আদর সাংবাদিকদের বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা দায়ের করা হলে বিচারক মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, বাদীর নিকট আত্মীয় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী। তাঁর অফিসে দুই বছর আগে রাজশাহী রেঞ্জের এসপি বেলায়েতের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে তাঁর সঙ্গে বাদীর ভালো সম্পর্ক হয়।

আরজি থেকে জানা যায়, একপর্যায়ে বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অর্থের প্রতি এসপি বেলায়েতের কুনজর পড়ে। ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট বাদী তার বাবার কাছ থেকে নিয়ে এসপি বেলায়েতকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করেন। পরে ঋণের টাকা এসপি বেলায়েত চেকের মাধ্যমে ফেরত দেন।

আরজিতে আরো উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ৪ এপ্রিল এসপি বেলায়েত বাদীর বাবাকে ফোন করে বলেন, ‘পাঁচ লাখ টাকা না দিলে তার ছেলের (বাদী) অসুবিধা হবে।’ পরে বাদীর বাবা পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক আসামিকে প্রদান করেন। ১০ এপ্রিল বাদীর বাবা ও সাক্ষী কথা বলে জানতে পারেন, ব্ল্যাকমেইল করে চেকটি আসামি নিয়ে যায়।

এরপর গত ৮ আগস্ট বেলায়েতসহ অজ্ঞাত আরো ১৫-১৬ জন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীর বাসায় প্রবেশ করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হবে এবং নারায়ণগঞ্জের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভ্রামমাণ আদালত নিয়ে জরিমানাসহ জেলে দেওয়ার হুমকি দেন বলে মামলায় বলা হয়।

আরজিতে আরো বলা হয়, এ অবস্থায় বাদী তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন এবং বার বার আসামি বেলায়েতকে বলেন, ‘আপনি আমাদের কাছের লোক, এসব কী বলছেন?’ তখন আসামি বেলায়েত অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং টাকা দিতে না পারায় মারপিট করে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে অন্যায় ও বেআইনিভাবে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে বাদীকে ২৫ লাখ টাকা দিতে বলেন। নতুবা ক্রসফায়ার অথবা ফেনসিডিলসহ অস্ত্র দিয়ে মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন। তখন বাদী সাড়ে তিন লাখ টাকা আসামি বেলায়েতের হাতে তুলে দেন এবং ১০ আগস্ট আরো ৫০ হাজার টাকা দেন। আসামির সঙ্গে ১৫ লাখ টাকায় রফা-দফা করে বাদীর বাবা পাঁচ লাখ টাকার চেক দিয়ে সমন্বয় করেন। আরো ছয় লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে দিতে বলেন। আর তা না হলে বাদীর ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন বেলায়েত।

এ ঘটনায় এসপি বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮৫/৩০৭/৩২৬/৩২৫/৪২০/৪০৬/৩৮৫/৩৮৩/৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।