রাজীবের মৃত্যুর অভিযোগপত্রে পরিবারের নারাজি
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে দুই বাসের চাপায় সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া ও মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসচালকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ তার বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করেছেন রাজিবের মামা জাহেদুল ইসলাম।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করা হয়।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার বাদী নিহত রাজীবের মামা জাহেদুল ইসলাম তাঁর আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাসের মাধ্যমে নারাজির আবেদন করেন। আবেদনের পর বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয়ে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দণ্ডবিধির ৩০৪ (খ) ধারায় অভিযোপত্র দাখিল করেছেন। যার সর্বোচ্চ শাস্তি হলো তিন বছর। কিন্তু রাজীবের মামলাটি নরহত্যা বা খুনের অভিযোগ। আমরা তাই নারাজির দরখাস্ত দিয়েছি। এখানে দণ্ডবিধির ৩০৪(খ)-এর সঙ্গে ৩০৪ ধারা যুক্ত হবে বলে আদালতে আর্জি জানিয়েছি। ৩০৪ ধারায় দায়ী হলে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইদ্রিস আলী রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় বিআরটিসি বাসচালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসচালক মো. খোরশেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের দরজায় দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। ওই সময় হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পৌঁছালে পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটি ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে শমরিতা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৭ এপ্রিল তিনি মারা যান।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলার পরই বিআরটিসির বাসচালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসচালক মো. খোরশেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা জামিনে রয়েছেন।