রাতে পুলিশ কর্মকর্তার ‘আত্মহত্যা’, ভোরে মিলল তাঁর সাবেক দেহরক্ষীর লাশ

Looks like you've blocked notifications!
খুলনা ডিএসবির এডিসি খন্দকার লাবণী আক্তার (বাঁয়ে) ও তাঁর সাবেক দেহরক্ষী কনস্টেবল মাহমুদুল। ছবি : সংগৃহীত

ছুটিতে মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে গিয়ে খুলনা ডিএসবির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) খন্দকার লাবণী আক্তার আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, লাবণীর মৃত্যু পরই তাঁর সাবেক দেহরক্ষী কনস্টেবল মাহমুদুল ডিউটি শেষে মাগুরা পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে ফেরার পর আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁরও মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

নিহত লাবণী আক্তার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদেরপাড়া ইউনিয়নের পরালিদহ গ্রামের শফিকুল আজমের মেয়ে। তিনি খুলনা ডিএসবির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অন্যদিকে, কনস্টেবল মাহমুদুল খুলনায় খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন।

লাবণী আক্তারের বাবা শফিকুল আজম বলছেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে লাবণী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে ডাকাডাকির পরেও দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

লাবণী আক্তারের বাবা আরও বলছেন, গত ১৭ জুলাই এক সপ্তাহের ছুটিতে লাবণী গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গ্রামের বাড়িতে এসে তিনি শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সারঙ্গদিয়া গ্রামে তাঁর নানাবাড়িতে ছিলেন। 

আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আজম বলেন, ‘সাংসারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে লাবণীর কলহ চলছিল। স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না বলেই আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’

পুলিশ কর্মকর্তা লাবণী আক্তার ৩০তম বিসিএস-এর মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।

শ্রীপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে, মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘খন্দকার লাবণী বুধবার দিনগত রাতে আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আর রাত শেষে অর্থাৎ ভোরে কনস্টেবল মাহমুদুল ডিউটি শেষে ভোরে ব্যারাকে ফেরেন। তারপর সবাই শটগানের গুলির শব্দ শোনেন। ছাদে গিয়ে দেখা যায়, মাহমুদুল পড়ে আছেন। তাঁর থুতনি দিয়ে গুলি ঢুকে মাথায় লেগেছে।’

মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘এর আগে কনস্টেবল মাহমুদুল খুলনায় কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন। জানি না, দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় অন্য কোনো কারণ আছে কি না।’