রাত পোহালেই ৬০ পৌরসভায় ভোট, বেড়েছে শঙ্কা

Looks like you've blocked notifications!
দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের সরঞ্জাম যাচ্ছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। ছবিটি গতকাল শুক্রবার তোলা। ছবি : এনটিভি

রাত পোহালেই দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৬০ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এরই মধ্যে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট উপলক্ষে অনেক পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে প্রচারের শেষ মুহূর্তের কিছু ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে, জানান দিয়েছে শঙ্কার কথাও। গত বৃহস্পতিবার রাতে অর্থাৎ নির্বাচনি প্রচারের শেষ সময়েও রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া নরসিংদীর মনহরদী, পাবনার ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচারে বাধা, হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা উত্তাপ বাড়িয়েছে নির্বাচনের।

শুধু তাই নয়, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর প্রতিপক্ষ আরেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনা ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ভোটে প্রভাব ফেলতে পারবে না। পৌরসভার ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। আর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মারা যাওয়ায় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।’

এদিকে ইসির নির্বাচনী পরিচালনা শাখা বলছে, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। আর এজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে ভোটের মাঠের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছে বিএনপি।

ইসির একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, প্রথম ধাপের ২৩টি পৌরসভায় মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপে সংঘাত-সহিংসতা বেড়েছে। এর রেশ ভোটগ্রহণের সময়েও থাকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে ইসি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বেশ সতর্ক।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোটের জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বলেছেন, ‘অতীতের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনকে সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। শনিবার অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।’

অপরদিকে ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শুক্রবার বলেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, এখন পর্যন্ত পৌরসভার নির্বাচন যতগুলো দেখলাম, বেশিরভাগ নির্বাচনে দেখলাম সরকার একইভাবে— ২০১৮ সালে নির্বাচনে জোর করে আগের রাতেই রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে, একই কায়দায় তারা পৌরসভাগুলোতে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে যাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘আমরা সতর্ক। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে যা যা করার সবই করবে ইসি। আমরা শুনেছি, কোথাও কোথাও সংঘর্ষসহ হতাহত ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে। সেসব বিষয় মাথায় রেখে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও আনসার, মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে আরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বেশি উত্তাপ দেখা যাচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে আমরা বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোথাও ভোট কারচুপির কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা সেখানে ভোট বন্ধ করে দেব। এ ছাড়া কেউ পরিস্থিতি বাজে করার চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তবে আমরা আশা করছি, কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ করতে পারব।’

৬০ পৌরসভার মধ্যে ৩১টি পৌরসভায় ব্যালটে এবং ২৯টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে প্রচার শেষ করেছে প্রার্থী ও সমর্থকরা। নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল, ট্রাক ও পিকআপ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। তবে জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি এবং হাইওয়ে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

ইসি জানিয়েছে, ৬০টি পৌরসভার ৫৬টিতে মেয়র পদে ভোট হবে। নারায়ণগঞ্জের তারাব, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙ্গুরা ও পিরোজপুর সদর- এ চার পৌরসভায় ভোটের আগেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। তবে ৬০টি পৌরসভার সবকটিতেই কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হবে।

দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে আটটি রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব প্রতীক নিয়ে অংশ নিচ্ছে। তবে ভোটের আগেই তিন পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় মেয়র পদপ্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় সেখানে ভোট স্থগিত করে ইসি। এ ছাড়া পাবনার সুজানগরে ১৬ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা থাকলেও রিটের কারণে প্রথমে ভোট স্থগিত করা হয়। পরে সেখানে নতুন করে ভোটের দিন দেওয়া হয় ৩০ জানুয়ারি। অপরদিকে প্রথম ধাপে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেই পৌরসভায় বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীর মৃত্যুবরণ করায় তখন ভোট স্থগিত করা হয়। সেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ শনিবার। গত ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি।

এই ধাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি-জাপা, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির প্রার্থী অংশ নিচ্ছে। এর আগে প্রথম ধাপে পাঁচটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল। এ ধাপে আটটি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট মেয়র পদপ্রার্থী ২২১ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৩৩২ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সংখ্যা ৭২৪ জন।

এবারের পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এই ধাপে ছয়টি পৌরসভায় প্রার্থী দিতে পারেনি।

ইসি সূত্র আরো জানিয়েছে, সবগুলো পৌরসভায় পুলিশের একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স মাঠে রয়েছে। এ ছাড়া প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে র‍্যাবের টিম টহল দিচ্ছেন। এক লাখের বেশি ভোটার বিশিষ্ট পৌরসভায় চার প্লাটুন বিজিবি, ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ভোটার পর্যন্ত তিন প্লাটুন এবং ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ভোটার বিশিষ্ট পৌরসভায় দুই প্লাটুন এবং ১০ হাজারের কম ভোটারের পৌরসভায় এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১৭টি পৌরসভায় এ সংখ্যার চেয়ে আর বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পৌরসভাগুলো হচ্ছে- দিনাজপুর, মোহনগঞ্জ, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, কিশোরগঞ্জ, কুলিয়ারচর, সাভার, বসুরহাট, গুরুদাসপুর, খাগড়াছড়ি, মোংলা পোর্ট, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ছাতক, শেরপুর, সারিয়াকান্দি ও সান্তাহার।

প্রতিটি পৌরসভায় সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের ১১ জন সদস্য ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৩ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন। বগুড়ার তিনটি পৌরসভায় এ সংখ্যার অতিরিক্ত হিসেবে দুজন করে বাড়তি পুলিশ দেওয়া হয়েছে। ৬০টি পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ৮০টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৪০ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ লাখ আট হাজার ৪৩১ জন এবং নারী ভোটার ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩১ জন।

দেশে মোট ৩২৯টি পৌরসভা রয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের ২৩টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় ধাপের ৬৪ পৌরসভায় ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৮টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে মেয়র পদে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।

দ্বিতীয় ধাপের ৬০টি পৌরসভা

গাজীপুরের শ্রীপুর (ইভিএম), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ (ব্যালট), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর (ইভিএম), বেলকুচি (ব্যালট), উল্লাপাড়া (ব্যালট), সদর (ব্যালট) ও রায়গঞ্জ (ব্যালট), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ (ব্যালট), কুষ্টিয়া সদর (ব্যালট), কুমারখালী (ইভিএম), ভেড়ামারা (ব্যালট) ও মিরপুর (ব্যালট), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া (ব্যালট) ও কমলগঞ্জ (ব্যালট), নারায়ণগঞ্জের তারাবো (ইভিএম), শরীয়তপুর সদর (ইভিএম), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী (ব্যালট), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ (ব্যালট) ও সদর (ব্যালট), দিনাজপুর সদর (ব্যালট), বিরামপুর (ব্যালট) ও বীরগঞ্জ (ইভিএম), নওগাঁর নজিপুর (ইভিএম), পাবনার ভাঙ্গুড়া (ব্যালট), ফরিদপুর (ইভিএম), সাথিয়া (ব্যালট) ও ঈশ্বরদী (ব্যালট), রাজশাহীর আড়ানী (ইভিএম), ভবানীগঞ্জ (ব্যালট) ও কাকনহাট (ইভিএম), সুনামগঞ্জ সদর (ব্যালট), ছাতক (ব্যালট) ও জগন্নাথপুর (ইভিএম), হবিগঞ্জের মাধবপুর (ব্যালট) ও নবীগঞ্জ (ব্যালট), ফরিদপুরের বোয়ালমারী (ব্যালট), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া (ইভিএম) ও মুক্তাগাছা (ব্যালট), মাগুরা সদর (ইভিএম), ঢাকার সাভার (ইভিএম), নাটোরের নলডাঙ্গা (ইভিএম), গুরুদাসপুর (ব্যালট) ও গোপালপুর (ব্যালট), বগুড়ার শেরপুর (ব্যালট), সারিয়াকান্দি (ইভিএম) ও সান্তাহার (ইভিএম), পিরোজপুর সদর (ইভিএম), নেত্রকোনার কেন্দয়া (ইভিএম), মেহেরপুরের গাংনী (ইভিএম), ঝিনাইদহের শৈলকুপা (ইভিএম), পার্বত্য খাগড়াছড়ি সদর (ইভিএম), বান্দরবান জেলার লামা (ব্যালট), টাঙ্গাইলের  ধনবাড়ী (ইভিএম), কুমিল্লার চান্দিনা (ইভিএম), ফেনীর দাগনভূঞা (ইভিএম), কিশোরগঞ্জ সদর (ব্যালট) ও কুলিয়ারচর (ইভিএম), নরসিংদীর মনোহরদী (ইভিএম), নোয়াখালীর বসুরহাট (ইভিএম) এবং বাগেরহাটের মোংলা (ইভিএম) পৌরসভা।