রাবির সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত ছয় সপ্তাহ স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান। ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ১৩৮ জনের নিয়োগে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আজ রোববার এক রিটের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের পক্ষে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এবং রিট পিটিশনার কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী হাসান দে আজিম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগ রাবির সাবেক উপাচার্যকে জড়িয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) যে আদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত চেয়ে আমরা আপিল বিভাগের চেম্বার জজের আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন।’

গত ৫ মে রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের ১৩৮ শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ এবং ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ক্যাবের পক্ষে মোবাশ্বের চৌধুরী রিট (৭১২৩/২০২১) আবেদন করেন। রিটে বিবাদী করা হয়, সরকারের পক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদকের চেয়ারম্যান, রাবির বর্তমান উপাচার্য ও সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান এবং রেজিস্ট্রারকে। এ ছাড়া পিটিশনারের পক্ষে ১৩৮ জনের নিয়োগ এবং ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা বাতিল চাওয়া হয়।

এদিকে গত ৬ সেপ্টেম্বর রিটের ওপর শুনানি শেষে দুদক চেয়ারম্যানকে রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অ্যাডহকে ১৩৮ জনের নিয়োগ এবং ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।