রামু সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত
কক্সবাজারের রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনে কক্সবাজারস্থ নৌ-ফরোয়ার্ড বেইজ এবং শেখ হাসিনা বিমান ঘাঁটি কক্সবাজারের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২১ উদযাপিত হয়। গতকাল রোববার বিকেলে যথাযথ মর্যাদা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান। অনুষ্ঠানে কক্সবাজার অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তি, তিন বাহিনীর চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের পরিবাররা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জিওসি মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য কক্সবাজার অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, সম্মাননা ও উপহার দেন।
জিওসি মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সের তিনটি শাখা যথাক্রমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী নিজেদের সীমিত যুদ্ধ সরঞ্জামসহ কঠিন প্রশিক্ষণ দিয়ে সজ্জিত করে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
প্রধান অতিথি তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর যা কিছু অর্জন ও সাফল্য তা সম্ভব হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর ওপর সরকারের আস্থা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা, অসামরিক প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা এবং দেশের সব নাগরিকের গভীর ভালোবাসার মাধ্যমে।’
জিওসি দৃঢ়তার সঙ্গে অনাগত দিনগুলিতেও সেনাবাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে যেকোনো ত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত থাকার ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজার রামু আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক, মহিলা সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমানসহ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশি মিশনের প্রধান আর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এই দিনটিকে পালন করে।