রামেক থেকে রোগীধরা চক্রের ১৮ সদস্য আটক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে রোগী ধরে নিয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা দালালচক্রের ১৮ সদস্যকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও আশপাশের এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘গ্রাম থেকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনকে টার্গেট করে দালালচক্র। তারা সরকারি হাসপাতালের চেয়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোগীকে বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে। এতে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন পায়। এ ছাড়া হাসপাতালে কেউ মারা গেলে দালালচক্র তাদের নির্ধারিত অ্যাম্বুলেন্স কিংবা মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে বাধ্য করে। এ রকম অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের সামনে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে আটক করে।’
আটককৃতরা হলেন নগরীর রাজপাড়া থানার কাজিহাটা এলাকার আরিফ শেখ (৫০), প্রসাদ কুমার দাস (২৫), লক্ষ্মীপুরের শামসুজ্জোহা ভুট্টু (৪০), লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়ার নাইম হোসেন (৩২), মিঠুরমোড়ের শফিউল ইসলাম শুভ (২৫), বহরমপুর মধ্যপাড়ার রফিকুল ইসলাম বাবু (৩৭), বহরমপুরের মোতাস-সিম ইসলাম রুপক (২৬), আলীগঞ্জ নবিনপাড়ার তুহিন (৫০), সিপাইপাড়ার সেলিম রেজা জনি (৩০), চণ্ডীপুর কদমতলার মোড়ের দেলোয়ার হোসেন টনি (২৮), টনির স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৩০), বহরমপুর ব্যাংক কলোনির এনামুল হোসেন (৩০) ও আলীগঞ্জ নবিনপাড়ার মুসলিমা বেগম (৩৬), নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার পূর্ব মোল্লাপাড়ার রুবেল রানা (৩৫) ও হড়গ্রাম শেখপাড়ার মুকুল হোসেন (৩৮), মোল্লাপাড়ার আব্দুল খালেকের স্ত্রী পলি বেগম (৩৫), রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বরকতপুর গ্রামের রবিউল আওয়াল (২৮), পাবনার চাটমোহর উপজেলার সুমন কুমার তলাপাত্র (৩২)।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস।