রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞায় চিংড়ি রপ্তানি, বিপাকে রপ্তানিকারকেরা

Looks like you've blocked notifications!

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর উপর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া চিংড়ির প্রায় ৮৫ লাখ ডলারসম পরিমাণ  বৈদেশিক মুদ্রা পাচ্ছে না বাংলাদেশি ব্যাংকগুলো। এতে বিপাকে পড়েছেন দেশের রপ্তানিকারকেরা।

এ ব্যাপারে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্স ইনন্ডস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পত্র দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবর্তনের সময় বৃদ্ধি এবং ওভারডিউ ইন্টারেস্ট চার্জ না করার আবেদন জানানো হয়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন গত ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বরাবর রাশিয়ায় হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবর্তনের সময় বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে একটি পত্র দিয়েছেন।

পত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রাশিয়াতে রপ্তানি হয়ে থাকে। বিদ্যমান রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যর্পণে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে তিনটি বিষয়ের উপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

১. ইএক্সপির (EXP) বিপরীতে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবর্তনের যে ১২০ দিনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, ইদানীং রাশিয়ার ক্ষেত্রে তা আরও ১২০ দিন বৃদ্ধি করার অনুরোধ।

২. যেসব ডকুমেন্ট ব্যাংক কর্তৃক FBP (foreign Bill  Purchase) রয়েছে, তাও  আরও ১২০ দিনের জন্য ওভারডিওর (overdue) বহির্ভূত রাখার অনুরোধ।

৩. এই আওতা বহির্ভূত সমস্যার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবর্তনের সময়ের জন্য বাংকগুলো যেন ওভারডিউ ইন্টাররেস্ট চার্জ (Overdue Interest Charge) আরোপ না করে।

এর আগে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. আমিন উল্লাহ একই দাবিতে এফবিসিআইকে উল্লেখিত তিন দফা দাবি জানিয়ে পত্র দেন। এই পত্রে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জুলাই থেকে জানুয়ারি পযর্ন্ত আট দশমিক ৩৩ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়, যা ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবর্তনের জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি খালিলুল্লাহ ঝড়ু জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় ১২ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন অর্থাৎ ১২৩ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়েছিল। এ বছর উল্লেখিত টাকা প্রত্যাবর্তনের জটিলতাসহ বর্তমানে রপ্তানি প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সিনিয়র সহসভাপতি আরও বলেন, রপ্তানি হওয়া চিংড়ি মাছের বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবর্তনে বিলম্ব হওয়ায় তাদের নানা জটিলতার পড়তে হচ্ছে।