রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আনতে পারব : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এ এম রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আনার বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ রোববার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাকে (এ এম রাশেদ চৌধুরী) দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগির তাকে দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে পারব।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মধ্যে নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। কানাডা বরাবরই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। ফলে, কানাডার নিজস্ব আইন অনুযায়ী নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। তবে, আমরা কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের জোর চেষ্টা রয়েছে। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করতে পারব।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছে পরিবারের ১৭ জনসহ ২০ জন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও এখনও পলাতক রয়েছে পাঁচ জন।

পলাতক পাঁচ আসামি

ইতিহাসের বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ছয় জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থান এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার। এ তিনজন হলো—খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন। এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় ও এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যায়।

ফাঁসি কার্যকর যাদের

২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।