রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছিলেন মামুনুল : ডিসি হারুন

Looks like you've blocked notifications!
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গতকাল সোমবার সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ছবি : স্টার মেইল

ধর্মভীরু মুসলমান ও কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছিলেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয়ে রিমান্ডে থাকা মামুনুল হকের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এ দাবি করেন তিনি।

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মামুনুলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা যেটা বুঝতে পেরেছি, কওমী মাদ্রাসার ধর্মভীরু মুসলিম ও ছোট ছোট বাচ্চাদের ব্যবহার করে উচ্চবিলাশ, রাজনৈতিক পদ দখল করা বা রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য। আর এ জন্যই হেফাজতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।’

ডিসি হারুন বলেন, ‘যে উসকানিমূলক বক্তব্যের ফলে এই ধর্মভীরু মুসলিমরা উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের নারায়ণগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করেছে। তাঁর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইসলামকে ব্যবহার করে, প্রভাব খাটিয়ে ও গ্রুপিং করে বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দ্বারপ্রান্ত পর্যন্ত যাওয়া। এসব চিন্তার ফলে মামুনুল একাধারে অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও রাজনৈতিক সংগঠন খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক।’

‘আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আপনি হেফাজতের অনুষ্ঠানে পলিটিক্যাল বক্তব্য দেন কেন? সে আসলে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। তাঁর কাছে আইন-কানুন, আদালত ও ধর্ম-কিছুই না। কারণ, উদ্দেশ্য তো ক্ষমতা’, যোগ করেন ডিসি হারুন।

হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমরা তাঁকে (মামুনুল হক) সাত দিনের রিমান্ডে এনেছি। আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করব, তদন্ত করব। তাঁকে আর কেউ ইন্ধন দিচ্ছে কি না, তাও খুঁজে দেখার চেষ্টা করব। তাঁকে রাজনৈতিকভাবে কেউ ব্যবহার করছে কি না, যার মাধ্যমে দেশে উগ্রবাদী কায়দায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অন্য কোনো প্ল্যান কেউ করছে কি না, তাও তদন্তে বের করার চেষ্টা করব।’

গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুল হককে। ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় গতকাল সোমবার তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।