রাষ্ট্রপতির ভাইয়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর গভীর শোক
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট ভাই ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আবদুল হাই গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ২ জুলাই তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। অবস্থার অবনতি হলে ৫ জুলাই তাঁকে সিএমএইচের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
প্রয়াত আবদুল হাইয়ের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আবদুল হাই রাষ্ট্রপতির এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় ১৯৫৩ সালে জন্ম নেন। মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, বিআরডিবির সভাপতি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রবাহ’র সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মিঠামইনের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। হাজি তায়েব উদ্দিন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শিক্ষক ছিলেন তিনি।
এলাকার উন্নয়নে আবদুল হাই বিপুল অবদান রেখেছেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নয় ভাইবোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম।