রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সাবেক এমপিএ আবদুল কাদিরের দাফন সম্পন্ন
পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের (এমপিএ) সাবেক সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বর্ষিয়ান রাজনীতিক মো. আবদুল কাদিরের (৯৩) জানাজা ও দাফন কিশোরগঞ্জে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর জেলা শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ইসলামিয়া মার্কেট প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার প্রদানের পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহরের শোলাকিয়া কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজা ও দাফনে সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
আবদুল কাদিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের সদস্যবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুল কাদির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মরহুমের ছেলে ইটনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন জানান, গত শুক্রবার রাতে তাঁর বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি পাঁচ ছেলে, চার মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আবদুল কাদিরের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।