রায়ের আগে উদ্বিগ্ন মিন্নি

Looks like you've blocked notifications!
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকক্ষের সামনের বারান্দায় মিন্নি ও তাঁর বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। ছবি : এনটিভি

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকক্ষের সামনের বারান্দায় চেয়ারে বসে ছিলেন মো. শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। সাদা থ্রিপিস পরে বসে বসে কী যেন খাচ্ছিলেন মিন্নি। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই মুচকি হেসে বলেন, ‘চকলেট খাচ্ছি।’ এ সময় মিন্নিকে কিছুটা উদ্বিগ্নও দেখা যায়।

মিন্নির সঙ্গে আরো কথা হলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি, ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন শরিফ পড়েছি। গোসল করে মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেয়েছি। খাওয়ার পর প্রস্তুতি নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি।’

সারা দেশে আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বুধবার। রায়কে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আদালত এলাকায় সাত স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শহরজুড়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মামলার অন্যতম আসামি ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন। বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর মোটরসাইকেলে করে তাঁকে আদালতে নিয়ে আসেন।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। মামলার ২৪ আসামির মধ্যে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা আজ। মামলার প্রধান আসামি মো. সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়নবন্ড গত বছরের ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। অন্য একজন আসামি মো. মুসা আগে থেকেই পলাতক।

এ মামলায় মোট ৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বরগুনার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ভুবন চন্দ্র হালদার। সঙ্গে ছিলেন প্যানেলভুক্ত আইনজীবী এ এম মুজিবুল হক কিসলু ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, মো. শাহজাহান মিয়া, হুমায়ুন কবীর, অলি উল্ল্যাহ সবুজ ও আবদুর রহমান নান্টু।