রায় শুনে ছটফট করছিলেন প্রদীপ, স্বাভাবিক লিয়াকত
বহুল আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে কাঠগড়ায় ছটফট করতে থাকেন কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। তবে পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী ছিলেন স্বাভাবিক। এছাড়া, যাবজ্জীবন রায়ের দণ্ড শুনে কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আসামি মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন। এরপরে তারা অপর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নন্দ দুলাল রক্ষিতকে চড়-থাপড় মারতে থাকেন। সে সময় আইয়াজ বলতে থাকেন, 'আমাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় নন্দ দুলাল। সে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক এ মামলায় আরও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাঁরা হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত (৩০), কনস্টেবল সাগর দেব, ওসি প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা (৩০), স্থানীয় বাসিন্দা বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন (২২), মো. নিজাম উদ্দিন (৪৫) ও মোহাম্মদ আইয়াজ (৪৫)।
এ ছাড়া খালাস পেয়েছেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. লিটন মিয়া (৩০), কনস্টেবল ছাফানুর করিম (২৫), মো. কামাল হোসাইন আজাদ (২৭), মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান আলী (৪৭), কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন (২৩) ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২০)।