রিজভীকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি পেশাজীবীদের

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন পেশাজীবীরা। ছবি : এনটিভি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব কারাবন্দি অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হচ্ছে অভিযোগ করে পেশাজীবী নেতারা বলেছেন, রুহুল কবির রিজভী গুরুতর অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্ব রিজভীর মুক্তি দাবি করেন তারা।

আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নাগরিক সমাজের উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সভায় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ যারা কারাবন্দি আছেন, যতদিন তাদের মুক্তি না হবে পেশাজীবী নেতারা ততদিন রাজপথে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’

রুহুল আমিন গাজী আরও বলেন, ‘রিজভী আহমেদকে কষ্ট দেওয়া মানে গণতন্ত্রকে কষ্ট দেওয়া, দেশের মানুষের মানবাধিকারকে কষ্ট দেওয়া। আমরা অবিলম্বে রুহুল কবির রিজভীর মুক্তি দাবি করছি।’

রুহুল আমিন বলেন, ‘কারাগারের ভেতর এবং কারাগার থেকে আদালতে আনা নেওয়ার সময় রিজভীকে নানানভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। তার মতো অসুস্থ একজন নেতাকে প্রিজনভ্যানে দাঁড় করিয়ে আনা-নেওয়া করা হয়। এসব খুবই অমানবিক। সরকারের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষ এমনটা করছে।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আগামীতে শেখ হাসিনার অধীনে এদেশের মাটিতে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আগে অবৈধ রাতের ভোটের সরকার শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তারপর নির্বাচন হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘সরকার মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়াকে সাজা দিয়েছেন। এটা শুধু দেশের মানুষ না, সারা বিশ্বের মানুষ জানে। সেই কারণে বেগম খালেদা জিয়া সারা পৃথিবীতে আলোকিত হয়েছেন গণতন্ত্রের মা হিসেবে।’

সভার সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া বলেন, ‘সরকার রিজভী আহমেদকে ভয় পায়, এজন্য তাকে মুক্তি দিচ্ছে না। একজন দাগী আসামিকে যেভাবে আদালতে আনা হয়, অসুস্থ রিজভী আহমেদকেও সেভাবে আনা হয় আদালতে।’

বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং রাশেদুল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহতথ্যবিষয়ক সম্পাদক ও পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, শাহাদত হোসেন বিপ্লব, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম প্রমুখ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক কাউসার, জসিম শিকদার রানাসহ পেশাজীবী ও ছাত্রদলের নেতারা।