রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি : সাহেদসহ স্বাস্থ্যের চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। ফাইল ছবি

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নাম আসামির তালিকায় নেই।

আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত ব্রিফিংয়ে বলেন, অনুসন্ধানে যাঁদের বিরুদ্ধে আদালতের প্রমাণযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে তাঁদের আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, অনুসন্ধান কর্মকর্তা যাঁদের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণ পেয়েছেন তাঁদেরই আসামি করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, মামলা তদন্তে যদি আরো কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাঁদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মামলার আসামিরা হলেন সাহেদ করিম, আমিনুল হাসান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়েছেন। যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগীপ্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া অনুসন্ধান প্রতিবেদনে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তার খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। 

সাহেদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। রিজেন্ট হাসপাতালের নামে এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেড় কোটি টাকা ও ফারমার্স ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাহেদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দুটি মামলা করেছে দুদক।