রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!

নভেল করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করে রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সুজয় সরকার জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার তারেক শিবলীকে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সুজয় সরকার বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম ও প্রতারণার ঘটনায় কিছুক্ষণ আগে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে সাহেদের অন্যতম সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে।’ তারেক শিবলীর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান সুজয় সরকার।

চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত সোমবার বিকেল থেকে রাত অবধি উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের মূল কার্যালয়ে প্রথমে অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে অভিযান শেষে হাসপাতালটির মিরপুর শাখায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাসপাতালটির আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়।

এরপর গত মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কোভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় র‍্যাব-১। এ ছাড়া উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয়ও সিলগালা করা হয়। এরপর গতকাল বুধবার হাসপাতালটির মিরপুর শাখাও সিলগালা করে দেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর শাখা সিলগালা করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

এর আগে গত মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। এর মধ্যে আটক আটজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বুধবার রিমান্ডে নেওয়া হয়। যদিও মালিক সাহেদকে এখনো আটক করতে পারেনি র‍্যাব।

রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি সাড়ে প্রায় চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন।

তা ছাড়া মোট ১০ হাজার রোগীর করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। মাত্র চার হাজার ২৬৪টি নমুনা সরকারিভাবে টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়। এ ক্ষেত্রে ভয়াবহ প্রতারণার কৌশল গ্রহণ করে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারো জ্বর থাকলে তাকে পজিটিভ, আর জ্বর না থাকলে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করে।