রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
রাজধানীর কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় আজ মঙ্গলবার এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মোহাম্মদ আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৬ জুলাই র্যাবের অভিযানে (মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে) রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড উত্তরা শাখায় (মূল শাখা) বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, উক্ত হাসপাতাল দুটি রোগীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে বিরাট অংকের টাকা আদায় করছে। অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ তারা আরো অনিয়ম করেছে বলে প্রমাণিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উল্লিখিত অনিয়মের কারণে ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৮২’ অনুযায়ী হাসপাতালের কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো।
গতকাল সোমবার বিকেল থেকে রাত অবধি উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালটির মূল কার্যালয়ে প্রথমে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে অভিযান শেষে হাসপাতালটির মিরপুর শাখায় অভিযান চালানো হয়। হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ইচ্ছেমতো ‘নেগেটিভ-পজিটিভ’ ফল বসিয়ে দেওয়া হতো। এ ছাড়া আরো কিছু অভিযোগে হাসপাতালটির আটজনকে আটক করা হয়।
আজ মঙ্গলবার হাসপাতালটির উত্তরার মূল কার্যালয় ও রিজেন্ট গ্রুপের মূল অফিস সিলগালা করা হয়েছে। সিলগালা করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
পরে সারওয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতাল করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করে রিপোর্ট দিতো। এ ছাড়া লাইসেন্সের মেয়াদ নবায়ন না করাসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে চলছিল। সে সবের প্রমাণও আমরা পেয়েছি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মূল কার্যালয় সিলগালা করে দিয়েছি। এ ছাড়া রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় সিলগালা করা হয়েছে। হাসপাতালটিতে ১০ থেকে ১৫ জন করোনা রোগী আছেন। তাদেরকে কুর্মিটোলায় পাঠানো হচ্ছে।’