রিমান্ড শেষে মুফতি কাজী ইব্রাহীম কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গত সোমবার গভীর রাতে আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ফাইল ছবি : সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় রিমান্ড শেষে মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহীমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শনিবার দুই দিনের রিমান্ড শেষে কাজী ইব্রাহীমকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহীমকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের একটি বাসা থেকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য এবং নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।

মুফতি কাজী ইব্রাহীম ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিতেন। বিগত সময়ে ঘটা হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে তাঁর সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ইসলামী বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল আলোচিত-সমালোচিত। করোনা মহামারি নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে তিনি ভাইরাল হন। বিভিন্ন সভায় তিনি দাবি করতে থাকেন যে, ইতালিপ্রবাসী মামুন মারুফ নামের কথিত এক ব্যক্তির স্বপ্নযোগে ভাইরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কথা বলেন। বিজ্ঞান সম্পর্কেও তিনি ভিত্তিহীন কথা বলে ট্রলের শিকার হন। নারীদের নিয়ে তাঁর বিদ্রুপ মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন অনেকে। সম্প্রতি ইংরেজ কবি ও নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাম শেখ যুবায়ের ছিল বলেও মন্তব্য করেন মুফতি ইব্রাহীম।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে মুফতি কাজী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়। মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি ৩৮৫, ৪০৬, ৪২০ এবং ৫০৬ পেনাল কোডের ধারায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন।