রোহিঙ্গাদের খাদ্য-পুষ্টি সহায়তায় ফ্রান্সের পৌনে ১২ কোটি টাকা অনুদান

Looks like you've blocked notifications!
কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ই-ভাউচারের মাধ্যমে ডব্লিউএফপির পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দেওয়ার জন্য ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছে ফ্রান্স সরকার। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এই খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। আজ সোমবার সকালে ডব্লিউএফপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই অনুদানের ফলে ইলেকট্রনিক ভাউচারের মাধ্যমে তিন হাজার ৩০০ রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তা দিতে পারবে ডব্লিউএফপি, এর ফলে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ডব্লিউএফপির দোকানগুলো থেকে খাবার কিনতে পারবে। পাশাপাশি, এই অনুদানের ফলে পাঁচ বছরের কম বয়সী মাঝারি মাত্রায় অপুষ্টির শিকার ১৬ হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে।

কক্সবাজারে ডব্লিউএফপির কার্যক্রমে এর আগেও অনুদান দিয়েছে ফ্রান্স। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ক্যাম্পে ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ৪৩ হাজার শিশু ও ১৯ হাজার অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানের যত্ন নেওয়া মাকে পুষ্টি সহায়তা দিতে ডব্লিউএফপিকে অনুদান দিয়ে সহায়তা করেছে ফ্রান্স সরকার। এ ছাড়াও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর এক হাজার ৭০০ নারীকে নগদ অর্থ সহায়তা ও আর্থিক দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যেন তারা চাষ, বুনন অথবা মৃৎশিল্পের মতো ব্যবসাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

কক্সবাজারে ডব্লিউএফপির ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেটর শিলা গ্রুডেম বলেন, ‘কক্সবাজারে আমাদের কর্মসূচির এক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হওয়ার জন্য ফ্রান্সের কাছে ডব্লিউএফপি কৃতজ্ঞ।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে এবং ঝুঁকির মুখে থাকা নারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টিতে ফ্রান্সের সাম্প্রতিক অনুদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

কক্সবাজারে অবস্থিত সব রোহিঙ্গাদের ই-ভাউচারের মাধ্যমে ডব্লিউএফপির পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, যার ফলে তারা ডব্লিউএফপির খুচরা বিক্রির দোকানগুলো থেকে তাদের পছন্দমতো খাবার কিনতে পারে। এই দোকানগুলোতে প্রধান খাদ্য—যেমন চাল, উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ রান্নার তেল, ডিম ও ডালের পাশাপাশি তাজা ফল ও শাকসবজি পাওয়া যায়, যা সরাসরি কক্সবাজার থেকে কেনা হয়। ডব্লিউএফপির খুচরা বিক্রির দোকানগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রতি মাসে প্রায় ৯৩ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা যুক্ত হচ্ছে।