রোহিঙ্গানেতাকে হত্যার ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আতঙ্ক, নিরাপত্তা জোরদার
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় শীর্ষ রোহিঙ্গানেতা মুহিবুল্লাহকে (৫০) গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ক্যাম্পে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ জানিয়েছেন, রাতে এশার নামাজের পর নিজ কার্যালয়ে কয়েক জন সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁর ভাই মুহিবুল্লাহ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে উগ্রবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে মুহিবুল্লাহকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ এফডিএমএন ক্যাম্প-১ ইস্টের ব্লক-ডি ৮-এ বসবাস করতেন। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটর্সের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান জানিয়েছেন, এশার নামাজের পর কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজ কার্যালয়ে অবস্থানকালে অজ্ঞাতনামা বন্ধুকধারীরা মোট পাঁচটি গুলি করে। এতে তিনটি গুলি তাঁর বুকে লাগে। পরে দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে।