রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত আন্তরিক : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : এনটিভি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে একটি সমস্যা হচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভারতে আলোচনা হয়েছে। ভারতও মনে করে এটার দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা আজ বুধবার তাঁর সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে সরকারি সফর করেন। এ সফরের বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে আলোচনা ও অঙ্গীকারের বিষয়ে তুলে ধরেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একই প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, রোহিঙ্গারা অবস্থানের কারণে আমাদের পরিবেশ, বনসম্পদ ও প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে। এর চেয়েও বড় সমস্যা হচ্ছে, সেখানে তাদের নিজেদের মধ্যে বিরোধের কারণে সংঘাত হচ্ছে। নানা ধরনের মাদক ও মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে। এতে আমাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনে আমরা ভারতের সহযোগিতা চেয়েছি। ভারতও সহযোগিতার বিষয়ে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এখানে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে মিয়ানমারের নিজস্ব কিছু বিষয় নিয়ে। মিয়ানমারে নিজেরাই দ্বন্দ্ব ও সংঘাতে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এখানে রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে। তারপরও রোহিঙ্গারাও তো মানুষ। আমরা তো আর তাদের তাড়িয়ে দিতে পারি না। এ জন্যই আমরা বরাবরই বলি- যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমার এবারের ভারত সফরে সে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের যথেষ্ট আন্তরিকতা পেয়েছি। সব মিলিয়ে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে এ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের একসঙ্গে নতুনভাবে এগিয়ে চলার গতি সঞ্চার হয়েছে। বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের সবাই দলমত নির্বিশেষে একই মনোভাব পোষণ করেন। এটা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়েও লক্ষ্য করা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সফরের পুরো সময়জুড়ে আমরা ভারতের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ও সৎ প্রতিবেশি হিসেবে সমতা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দুই দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার লক্ষ্য করেছি। ভারতীয় নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়ে, সংবাদ মাধ্যমে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আমি বাংলাদেশের জন্য যে প্রীতি ও সৌহার্দ্য লক্ষ্য করেছি, তা সত্যিই অসাধারণ। এই প্রীতির সম্পর্ককে সুসংহত করে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। এই সফরে সহযোগিতার যেসব ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করলে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।