র‍্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা হাসির খোরাক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে হাসির খোরাক বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ অপ্রত্যাশিত। এটি আমাদের কাছে তাজ্জব মনে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত তো হাসির খোরাক। এটা ঠিক হয়নি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ রোববার সিলেটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাব এবং সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক) বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। বেনজীর আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার আওতায়ও পড়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এ চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, র‍্যাব দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, মানবপাচার রোধ ও মাধক নির্মূলসহ বিভিন্ন ইতিবাচক করছে, যা দেশের মানুষের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ফোনে যে বিষয়গুলো নিয়ে এর আগেও আলাপ হয়েছিল, সেগুলোই চিঠিতে লিখেছি। বিষয়টি যাচাইয়ের সুযোগ আছে। আমরা সে কথাটাই আবার চিঠিতে লিখেছি। মানবাধিকারের বিষয়ে আমরা সোচ্চার। এ নিয়ে আমরা আপস করি না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন সংলাপে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত (নিষেধাজ্ঞা) অপ্রত্যাশিত। র‍্যাব প্রতিষ্ঠান হিসেবে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য। প্রতিষ্ঠানটির কারণে সন্ত্রাস, মাদক ও মানব পাচার কমেছে। তাই এ সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে তাজ্জব মনে হয়েছে।’