লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

থানা সূত্র জানায়, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুজ্জামান মামলাটি করেন। এতে ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জুয়েল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আবদুর রহিম রাজন, আবদুল আজিজ মিশু, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আবুল বারাকাত সৌরভ, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান অভি, যুগ্মআহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন রনি, ছাত্রদল নেতা বায়েজীদ ভূঁইয়া, কাউছার আহমেদ ও রানা।

এজাহার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্তরা শহরের পুরাতন আদালত সড়কে জড়ো হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। জনমনে আতংক তৈরি ও বাজারে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। এ সময় তাদের কোনো কর্মসূচি থাকলে সেখানে যাওয়ার জন্য বলে পুলিশ। বাজারে মানুষের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্যও তাদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ছাত্রদলের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তা মানেনি। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে উদ্দেশ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে মামলার বাদী আনিছুজ্জামান, কনস্টেবল শফিক উল্যা ও জিসান আহমেদ আহত হন। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জেলা ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় চকবাজার এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শুরু থেকেই পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে আসছিল। শহরের ব্রিজ পার হতেই পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পুলিশ নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি লাথি-কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারে। মারধরে নেতাকর্মীরা আহত হয়ে পড়ে।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। তাদের লাথি, কিল-ঘুষি-থাপ্পড়ে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়িনি। হয়রানি করার জন্য পুলিশ মামলা দিয়েছে। মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে, এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।’