লক্ষ্মীপুরে সাংসদ শাহজাহান কামালের উপহার পেল ১৬ হাজার পরিবার
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট নিরসনে লক্ষ্মীপুরে সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামালের উপহার হিসেবে ১৬ হাজার পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পর্যন্ত ২৫ দিন ধরে তাঁর নির্বাচনী এলাকা লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নের দিনমজুর,গরিব-অসহায় মানুষগুলোর বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রীগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়।
সাংসদের পক্ষে তাঁর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ও জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়া অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্যসামগ্রীগুলো পৌঁছে দিচ্ছেন। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী। প্রবীণ এই নেতা লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ছিলেন।
সূত্র জানায়, শাহজাহান কামাল তাঁর প্রতিনিধিকে দিয়ে নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষকে সহযোগিতায় কাজ করছেন। গত ২৫ দিনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি, ভবানীগঞ্জ, দত্তপাড়া, চরশাহীসহ ১২টি ইউনিয়নের ১৬ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় আট হাজার পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য দিয়েছেন। বাকিদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়। সাংসদের পক্ষ থেকে চিকিৎসক, পুলিশ ও সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা পোশাক দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় তিন হাজার মানুষের মধ্যে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যাক্সিসল বিতরণ করা হয়। ফোনে কল পেয়ে কয়েকজনের বাড়ি গিয়েও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
সাংসদের প্রতিনিধি বায়েজীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি শাহজাহান কামালের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রমজীবী মানুষের খাদ্যসংকট দূর করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আমি নিজে গিয়ে প্রত্যেকটি পরিবারকে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। করোনা সংকট দূর হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামাল জানান, করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে ঘরে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। সরকারের নির্দেশনা মেনে সঙ্গরোধ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। অসহায়দের খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রমজানেও যেন কেউ খাদ্য সংকটে না থাকে, সেজন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।