লঞ্চডুবিতে নিহত মুসলমানরা শাহাদাতের মর্যাদা পাবেন : বাবুনগরী
রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ‘শরিয়তের পরিভাষায় এ দুর্ঘটনায় নিহত মুসলমানরা শাহাদাতের মর্যাদা পাবেন। স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দুর্ঘটনায় শিকার ব্যক্তিদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’ আজ বুধবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন জুনায়েদ বাবুনগরী।
নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়াসহ সাধ্যমতো ত্রাণসামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসতে হেফাজত নেতাকর্মীদের প্রতিও বিশেষ আহ্বান জানান জুনায়েদ বাবুনগরী।
বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৩৩ জনের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শরিয়তের পরিভাষায় নিহত মুসলমানরা শাহাদাতের মর্যাদা পাবেন। আমি নিহতদের মাগফিরাত কামনা করছি, তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
হেফাজত মহাসচিব আরো বলেন, নৌপরিবহনের চালক ও দায়িত্বশীলদের অবহেলায় কিছুদিন পর পর লঞ্চডুবি ও নৌকাডুবির দুর্ঘটনা ঘটে। এর ফলে দেশের নৌপথ যাতায়াত ব্যবস্থা জনগণের আস্থা হারাচ্ছে।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে নৌ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান হেফাজত মহাসচিব।
সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান হেফাজত মহাসচিব।
গত সোমবার ঢাকার শ্যামবাজার এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় সর্বশেষ ৩৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স।
গত সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামে একটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামে একটি লঞ্চ ভেঙে দু টুকরো হয়ে নদীতে ডুবে যায়।