লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার, খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক
চুয়াডাঙ্গার উথলী রেলওয়ের স্টেশনে তেলবাহী ট্যাংকারের লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার হওয়ায় ১১ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে রেলপথ। এতে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন।
এদিকে জ্বালানিবাহী ট্যাংকার লাইনচ্যুতের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। তদন্ত দলের অন্য সদস্যরা হলেন পাকশী বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী রাজিব বিল্লাহ, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিশ কুমার মন্ডল, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম ও পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) বীরবল মন্ডল।
জীবননগরের উথলী রেলওয়ে স্টেশনে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রোববার রাত ১২টা ৪০ মিনিটের সময় উথলী স্টেশনের সামনে লুপ লাইনে বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ ঘটনার পর উথলী রেলওয়ে স্টেশনের পাশের দর্শনা, আনছারবাড়ীয়া, সাবদালপুর ও চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে চারটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়ে।
উথলী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আলী জানান, খুলনা থেকে ডিজেল নিয়ে নাটোরের উদ্দেশে ৩০টি বগি নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি উথলী রেলওয়ে স্টেশনে আসে। ক্রসিংয়ের জন্য ট্রেনটি দুই নম্বর লাইনে নেওয়া হয়ে। রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের সময় ক্রসিং শেষে ট্রেনটি নাটোরের উদ্দেশে ছাড়ে। ট্রেনটি দুই নম্বর লাইন থেকে এক নম্বর লাইনে ঢোকার ১৪/১৫ নম্বর পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ কারণে এ লাইনে ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
মোহাম্মদ আলী জানান আরও জানান, এ ঘটনার পর ঈশ্বরদী থেকে সকাল সাড়ে ৭টার সময় উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার কাজ শেষে দুপুর ১২টার সময় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।