‘ল্যাবএইড ও ইবনে সিনায় করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হবে’
ল্যাবএইড ও ইবনে সিনা হাসপাতালকেও করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত শনাক্তকরণ পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। আজ বৃহস্পতিবার তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত কোভিড-১৯ বুলেটিনে এ তথ্য জানান।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর থেকে দেশে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট সাত হাজার ৬৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসব পরীক্ষা এতদিন সরকারের রোগতত্ত্ব , রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মাধ্যমে পরীক্ষা হতো। এ ছাড়া গতকাল বুধবার থেকে ঢাকায় বেরসরকারি স্কয়ার হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতালকে (অ্যাপোলো হাসাপাতাল) পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়।
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরীক্ষার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে ( এ্যাপোলো হাসাপাতাল) করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আমাদের কাছে আজ এসব তথ্য এসেছে। আমরা সেগুলো সংযুক্ত করে আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।’
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, ‘এ ছাড়া ঢাকার ভেতরে ল্যাব এইড হাসপাতাল ও ইবনে সিনা হাসপাতাল আমাদের কাছে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে তাহেরুনেচ্ছা মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও রেফায়েতুল্লাহ হাসপাতালও আবেদন করেছে। এ আবেদনগুলো আমাদের কাছে বিবেচনাধীন আছে। আমরা আজ- কালের মধ্যে পূর্বের শর্ত অনুযায়ী এ বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অনুমোদন দিয়ে দেব। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল যারা আমাদের শর্ত পূরণ করতে পারবে, তাদের সবাইকে শর্ত অনুযায়ী অনুমোদন দিয়ে দেব।’
ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৬২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা গত দিনের চেয়ে ১৯ দশমিক ৫৪ ভাগ বেশি এবং চার হাজার ৯৬৫ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। যা গত দিনের চেয়ে দশমিক ৬ ভাগ কম। এর মধ্য থেকে ৫৬৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত আরো ১০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে ১৬০ জন সুস্থ হয়েছে।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমানে এক লাখের বেশি কিট মজুদ আছে। এ ছাড়া নতুন কিট আনা হচ্ছে। ’ তিনি আরো বলেন, গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা বেড়ে যায়। বর্তমানে দেশে ৬৪ হাজার ৬৬৬ জনের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।