শক্তিমান চাকমা হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটির নানিয়ারচরের উপজেলার চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে হত্যার আরেক আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত অর্পণ চাকমা। ছবি : এনটিভি

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি অর্পন চাকমা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার ভোর রাতে রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের বানাসছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।  

দুপুরে রাঙামাটি সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, নিহত অর্পন চাকমা বাবুধন পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র শাখার সদস্য এবং তিনি ২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি। অর্পন চাকমাই সেদিন শক্তিমান চাকমাকে নিজে গুলি করে হত্যা করেছিলেন বলে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানানো হয়, আজ ভোরের দিকে সেনাবাহিনীর রাঙামাটি জোনের শুভলং ক্যাম্পের একটি নিয়মিত টহল দল নৌযানে করে বন্দুকভাঙ্গার বানাসছড়ি এলাকায় যায়। সেখানে মাইসভাঙ্গা এলাকায় নৌযান থেকে নামতেই পাহাড়ের ওপর ওত পেতে থাকা একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী টহল দলটির ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।

নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত আত্মরক্ষার্থে অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলিবর্ষণ করতে থাকে। বিষয়টি শুভলং ক্যাম্পকে জানালে কিছুক্ষণের মধ্যে আরো একটি টহলদল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং নিরাপত্তাবাহিনী ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় একজন সন্ত্রাসীর মৃতদেহ পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তাঁর সঙ্গে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলের গুলি, এলজির কার্তুজ এবং কিছু ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়।

রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর জেনে আমি সেখানে যাই এবং লাশটি উদ্ধার করে রাঙামাটির সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দিয়েছি। এখন যদি কোনো স্বজন আসেন তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হবে।’

এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার আরেক আসামি সুমন চাকমা ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দোপাতা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

এ ছাড়া মাত্র সাত দিন আগেই গত ১৯ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে ইউপিডিএফের আভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে নিহত সুমন চাকমা নামের আরেক ইউপিডিএফ কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।