শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি মেয়র আতিকের

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব এলাকায় রাত ১২টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের খোঁজখবরের পর তিনি এ দাবি করেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির সব এলাকায় বুধবার রাত ১২টার মধ্যেই প্রথম দিনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সবার আন্তরিক সহযোগিতার ফলে এত অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব এলাকা থেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এবার কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।

মেয়র বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো ০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো ছাড়াও ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়।

আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্যে যাতে নগরীর কোথাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সেজন্য নগরবাসীকে যথাসময়ে সাড়ে ছয় লাখ বর্জ্য ব্যাগ, ৫০ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার এবং পাঁচ লিটার আয়তনের এক হাজার পাঁচ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়।

ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া থেকে বাঁচতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, করোনা মহামারিকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারো মৃত্যু না হয় সেজন্য নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশবিস্তারকে রোধ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ডিএনসিসি মেয়র।