শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের মতবিনিময় সভা। ছবি : এনটিভি

নড়াইলে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেডের সহযোগিতায় এ মতবিনিম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহম্মাদ হাবিবুর রহমান, সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ ফকরুল হাসান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদী, ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেডের পরিবেশ পরামর্শক মো. মাছুম রেজা, মো. ওয়াসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশ ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেডের পরামর্শক মো. মাছুম রেজা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক, শব্দদূষণের কারণ, উচ্চ শব্দের হর্ন, নীরব এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে উপস্থিত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, নগর জীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকির একটি অন্যতম কারণ শব্দদূষণ। মানুষ ও প্রাণীর শ্রবণ সীমা অতিক্রম করে এবং শ্রবণ শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে—সেটাই শব্দদূষণ। ২০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা হলেই আমরা সেটি শুনতে পাই। এর কম হলে পারি না। ২০ থেকে ২০ হাজার হার্জ পর্যন্ত শব্দ আমরা শুনতে পারব। এর চেয়ে বেশি হলে আমাদের শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত  হবে।

নির্মাণকাজ, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। শব্দদূষণের ফলে অনেকেই শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলছে। যারা চালক বা বাইরে কাজ করে তারা এ শব্দ দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া শব্দদূষণের  প্রভাবে দুশ্চিন্তা, অবসাদ, উদ্বিগ্নতা, নিদ্রাহীনতা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

বক্তারা আরও বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। নির্ধারিত নীরব এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া থাকলেও বাস্তবে সব স্থানেই শব্দের মাত্রা মাত্রাতিরিক্ত। নীরব এলাকার জন্য দিনের বেলা ৫০ ও রাতে ৪০ ডেসিবেল মাত্রা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ মাত্রা মেনে চলা হয় না। হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে। যতটুকু মাত্রায় হর্ন ব্যবহার করলে মানুষের ক্ষতি বা শব্দদূষণ হবে না, ততটুকু মাত্রায় হর্ন বাজাতে হবে।