শরীয়তপুরে টহল দলের ওপর জেলেদের হামলা, একজনের কারাদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে আটক জেলে। ছবি : এনটিভি

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তাসহ টহল দল। এসময় তাদের হামলায় একজন আহত হয়েছেন। আটক এক জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোসাইরহাট উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন, রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার চর মাইজারা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আটক জেলে হলেন কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মো. দুলাল বেপারীর ছেলে মো. রকিব বেপারী (২৫)। এসময় হামলাকারীরা একটি নৌকা ও নৌকায় ৪টি রামদা সহ বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে আসছে জেলা ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এতে ক্ষিপ্ত জেলেরা। আজ সকাল ৭টা থেকে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার হাসিবুল হকের নেতৃত্বে ২০ জনের একটি দল দুটি ট্রলার ও স্পিড বোটে করে নদীতে অভিযান চালায়। হঠাৎ করেই জেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে কুচাইপট্টি ইউনিয়নের চর মাইজারী মেঘনা নদীতে গেলে কয়েকটি ছোট নৌকা ও ট্রলারে করে জেলেরা হামলা করে। এতে ৬ জন গুরুতর আহত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে একটি নৌকা ও একজন জেলে আটক করা হয়। আটক জেলেকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷

সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছি। এতে করে নদীতে কোন জেলে মাছ ধরতে নামতে পারে না। আজ হঠাৎ করে অভিযান শেষ করে আসার পথে চর মাইজারীতে দেখি অনেক নৌকা নদীতে মাছ ধরছে। আমরা অভিযান শুরু করলে হঠাৎ করে ছোট ছোট নৌকায় ইট পাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমরা ধাওয়া করি। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি রামদা ও ১ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া ৫০ হাজার ফুট কারেন্ট জালসহ মাছ আটক করা হয়৷

গোসাইরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাশগুপ্ত বলেন, সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে নদীতে অর্ধশতাধিক নৌকা নিয়ে অভিযান পরিচালনাকারী দলের ওপর হামলা চালায় জেলেরা। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীদের একটি নৌকা, চারটি রামদা ও একজনকে আটক করা হয়েছে৷ তাকে মৎস্য সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০(৫) এর ধারায় ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।