শরীয়তপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১২ বছর বয়সী মেয়েটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ১৫ জুন দুপুরে উপজেলার ডিএমখালি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা করতে চাওয়ায় মেয়েটির পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে ধর্ষকের পরিবারের লোকজন। ঘটনার পর থেকে কিশোর জয়নাব পলাতক রয়েছে বলে জানান ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা।

মাদ্রাসাছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়ভাবে জানা যায়, সোমবার দুপুরে মেয়েটি গোসল করার জন্য বাড়ি থেকে খালের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পাশের মোহাম্মদ উল্লাহ সরকার কান্দি গ্রামের ইয়াছিন মালের ছেলে জয়নাব মাল ওত পেতে থেকে মেয়েটিকে মুখ চেপে পাশের কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে। পরে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি বাড়ি ফিরে ঘটনাটি সবাইকে জানিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। বিষয়টি প্রথমে জয়নাবের পরিবার, পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান পরিবারের সদস্যরা।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার করার আশ্বাস দিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শাহালম পাজরী। তিনি ও স্থানীয় আরেক মাতাব্বর মিলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে । কিন্তু আশ্বাসের দুদিন পেরিয়ে গেলেও কিছুই করেননি ইউপি সদস্য। উল্টো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে ওই পরিবারটি।

মেয়েটির বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে জোরপূর্বক জয়নাব তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। মেম্বারকে জানিয়েও কোনো কিছু হয় নাই। দুদিন পার হয়ে গেছে। আর আমার বিচার দরকার নেই। এর কোনো বিচার হবে না। সবাই নীরব ভূমিকা পালন করছে।

ইউপি সদস্য শাহালম পাজরী বলেন, শুনেছি ধর্ষণ করা হয়েছে। দুই পক্ষই গরিব। আমরা স্থানীয়ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করেছি।

ডিএমখালি ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাদবর বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। বিষয়টি এখনি জানার চেষ্টা করছি।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনাম হোসেন বলেন, এখনো কেউ থানায় এসে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।