জেলা যুবলীগের সংবাদ সম্মেলন

শাল্লায় হামলার প্রধান আসামি স্বাধীন মেম্বার যুবলীগের কেউ নন

Looks like you've blocked notifications!
সুনামগঞ্জের শাল্লার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি শহিদুল মেম্বার যুবলীগের কেউ নয় বলে দাবি করে সাংবাদ সম্মেলন করে জেলা যুবলীগ। ছবি : এনটিভি 

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়া শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বার (৫০) যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের রমিজবিপণির জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘২০০৭ সালের পর থেকে দিরাই ও শাল্লায় যুবলীগের কোনো সংগঠনিক কমিটি নেই। তাই যারা শহিদুল ইসলামকে যুবলীগের নেতা বলে প্রচার করছেন, সেটা সঠিক নয়। এটা মূল ঘটনাকে আড়াল করার ষড়যন্ত্র।’

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু, সবুজ কান্তি দাস, সীতেশ তালুকদার মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়া শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বার (৫০)। ছবি : এনটিভি

আসামি স্বাধীন মেম্বারকে গতকাল শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের নাসনি গ্রামে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। শহীদুল, ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শানে রিসালাত সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সামনে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সূত্র ধরে পাশের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের ঝুমন দাস আপন তাঁর ফেসবুকে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেন বলে দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে ঝুমনকে খুঁজে বের করে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশে দেয় লোকজন। এরপরও লোকজন শান্ত না হয়ে গত বুধবার সকাল থেকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নোয়াপাড়া গ্রাম ঘিরে রাখে। পরে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে প্রথম মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের সরমঙ্গল ইউপির সদস্য শহিদুল ইসলামকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও দেড় হাজার জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে অপর মামলাটি করা হয়। পুলিশের করা মামলার বাদী হয়েছেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।

এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন এ পর্যন্ত শহিদুলসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩০ জন।