শিক্ষকের গলায় জুতার মালার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ

Looks like you've blocked notifications!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে জুতার মালা পড়িয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ প্রতিবাদ জানান। তারা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তারা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে একজন শিক্ষককে এভাবে অসম্মান করা হলো। তাহলে কি কেবলমাত্র ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে ওই শিক্ষককে এভাবে অপমানিত হতে হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের কোনো ভূমিকাই নেই। ওনাকে না বাঁচিয়ে পুলিশ তাকে বের করেছে। প্রশাসন যারা চালায় তারা কী চাইছে? কয়েকশ পুলিশের প্রহরায় এটা করা হলো। এটা বাংলাদেশের জন্য কিসের ইঙ্গিত বহন করছে ?

নেতৃদ্বয় বলেন, ধর্ম অবমাননার ধোয়া তুলে প্রকৃত অপরাধীরা মূলত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে কি না তা খুঁজে বের করতে হবে। প্রকৃত অর্থেই দুর্নীতিবাজরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ধর্ম অববাননার বিষয়ে গুজব তুলেছে বলেই অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। এই ঘটনায় মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হচ্ছে দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও মানুষের মগজের উন্নয়ন হয়নি। এখনও দুর্নীতিবাজ আর লুটেরারা নিজেরদের স্বার্থ রক্ষায় ধর্মকে ব্যবহার করছে আর আম জনতা ব্যবহৃত হচ্ছে।

তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে অধ্যক্ষকে সরিয়ে দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে ৫ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে তৎপর একটি চক্র, তারাই রাহুলের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রদের খেপিয়ে তোলে এবং স্বপন কুমারের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনে; যাতে তাকে অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। সেই পুরোনো কৌশল অবলম্বন করে। আর এই অপকৌশলের শিকার হয় সাধারণ শীক্ষার্থীরা। যা আজকের ও আগামী দিনে জন্য কোন শুভ ইঙ্গিত বহন করছে না।

নেতৃদ্বয় ন্যক্কারজনক এই ঘটনার সাথে জড়িত দুর্নীতিবাজ ও সমাজবিরোধী প্রভাবশারী চক্রকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরিয়ে অপমান করা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের অধপতনকেই ইঙ্গিত করছে।