শিক্ষা উপমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি : চবিতে ছাত্রলীগের আন্দোলন স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের অবরোধে বন্ধ ফটক। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা দ্বিতীয় দিনের অবরোধ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের হুঁশিয়ারির পর স্থগিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ১১টার দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে লেখেন, ‘নিজেদের সাংগঠনিক দাবিতে যারা সহিংসতা করছে, তাদের বিষয়ে সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত কঠোর হওয়া প্রয়োজন।’ এরপর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা আসে।

এর আগে চবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন পদবঞ্চিতরা। এই আন্দোলনে গতকাল সোমবার থেকে বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক। চলেনি শাটল ট্রেন। স্থগিত হয়ে যায় ক্লাস ও পরীক্ষা।

শিক্ষা উপমন্ত্রী তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘ছাত্র সংগঠনের পদপদবির বিষয়ে কোনও দাবি-দাওয়া থাকলে সংগঠনের যেকোনও কর্মী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। কোনও সাংগঠনিক দাবি থাকলে সেটি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সমাধান করা যায়। কিন্তু, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা, ভাঙচুর করা, অপহরণ করা, হত্যার হুমকি দেওয়া কোনোভাবেই ছাত্র সংগঠনের আদর্শ কর্মীর কাজ হতে পারে না।’

নওফেল আরও লেখেন, ‘যারা এসব করছে তাঁরা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থেই অরাজকতা করছে। তাদের কাছে সংগঠন বা শিক্ষার মূল্য আছে বলে মনে হয় না। নিজেদের সাংগঠনিক দাবিতে যারা সহিংসতা করছে, তাদের বিষয়ে সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত কঠোর হওয়া প্রয়োজন।’

শিক্ষা উপমন্ত্রীর ফেসবুক পোস্টের পর পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক খুলে দেন। ছাত্রলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা উপমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, কমিটি বর্ধিত করার ব্যাপারে। এখন সিদ্ধান্ত তাঁর। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা মেনে নেব।’

বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সেলিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সকালে অবরোধকারীরা পরিবহন দপ্তরে এসে গাড়ি বের না করার আহ্বান জানান। আমরা সকাল থেকে কোন গাড়ি বের করিনি। এখন আন্দোলন স্হগিতের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’

গত রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর চবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে। এতে ৩৭৬ সদস্য আছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এই কমিটির অনুমোদন দেন। এরপর থেকে আন্দোলন শুরু করেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের প্রায় ৩০টি কক্ষ ভাঙচুর করেন। অপহরণ করেন ক্যাম্পাসগামী শাটল ট্রেনের চালককে।