শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের বিচার শুরু
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর তথ্য প্রদানের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ অভিযোগ গঠন করেন। এদিন মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মুনজুর আলম। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
আইনজীবী মুনজুর আলম এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করে বলেন, বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামি ৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
নথি থেকে জানা গেছে, মামলার বাদী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার সাবেক প্রকল্প পরিচালক। উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহর সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। উই প্রকল্পের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা আসামি মো. আব্দুর রাজ্জাক। আসামির সাবেক স্ত্রী যৌতুক নিরোধ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হওয়ায় তাঁকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামি ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাময়িক বরখাস্ত আদেশকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে বাদীকে টার্গট করে বর্ণিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রমে দুর্নীতির মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে প্রচার ও শেয়ার করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডবিরোধী কুৎসামূলক অপপ্রচার চালানোর কারণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত সরকারি নীতিমালা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০২০ এবং সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ অভিযোগে রমনা থানায় অভিযোগ করেন বাদী।
আসামি বর্তমানে নোয়াখালী সরকারি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছে। তিনি পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার গোকুলনগর গ্রামের মো. হযরত আলীর ছেলে।