শিবচরে ত্রিভুজ প্রেমের বলি ইমন, আরেক তরুণী গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বিসিএস পরীক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমন হত্যায় জড়িত সাজেদা মারিয়া (২০) নামের আরেক তরুণীকে গতকাল রোববার শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ। গোপন ভিডিও ও ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত সাজেদা মারিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লাবনীর নতুন প্রেমিক কামরুজ্জামান কামরুলের আরেক প্রেমিকা। তিনি সানজিদা, তানজিলা নামেও নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ মে শিবচরের চর-বাঁচামারা গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে বিসিএস পরীক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন ইমনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইমন উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরকামার কান্দির সেকান কাজীর ছেলে।
গত ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ইমন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করলে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অধিকতর তদন্তে নেমে পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডে ইসমাইল হোসেন ইমনের প্রেমিকা লাবনী আক্তার, লাবনীর নতুন প্রেমিক মো. কামরুজ্জামান কামরুল, কামরুলের আরেক কথিত প্রেমিকা সাজেদা মারিয়া ও তাদের সহযোগী মেহেদী ফরাজীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়।
ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন, দত্তপাড়া ফাঁড়ির পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার ঘোষ ও এসআই শরিফ আবদুর রশীদের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত মঙ্গলবার প্রেমিকা লাবনী আক্তার ও তার সহযোগী মেহেদী ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর লাবনী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এর পর ডিবি পুলিশের একটি দল শনিবার বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিকান্দিতে অভিযান চালিয়ে নিজবাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত কামরুজ্জামানের কথিত প্রেমিকা সাজেদা মারিয়াকে (২০) গ্রেপ্তার করে। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল রোববার আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত সাজেদা মারিয়ার বাড়ি জাজিরা উপজেলার মাঝিকান্দি গ্রামের পাইনপাড়ায়।
ওসি মো. আল মামুন বলেন, ‘আমরা মামলা তদন্তে হত্যাকাণ্ডে চারজনের সম্পৃক্ততা পাই। ইমনের প্রেমিকা লাবনী ও তার এক সহযোগী মেহেদীকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিকান্দি থেকে সাজেদা মারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারিয়া লাবনীর নতুন প্রেমিক কামরুজ্জামানের আরেক প্রেমিকা। কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মূলত মোবাইল ফোনে গোপন ভিডিও ও ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।